এসএম বিশাল: রাজশাহী আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একটি অংশের অন্যত্র বদলি হতে অনীহা।

তারা দীর্ঘদিন যাবত একই কর্মস্থল রাজশাহীতে নূন্যতম ৭ বছর থেকে সর্বোচ্চ ১৫ বছর পর্যন্ত কর্মরত রয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে এই কর্মস্থলে থাকার সুবাদে কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে পরষ্পর যোগসাজস করে নানা অনিয়মে জড়িয়ে পড়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। খাদ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত বদলি নীতিমালা কার্যকর করতে গত ৮ নভেম্বর খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক সারোয়ার মাহমুদ স্বাক্ষরিত একটি অফিস আদেশ (সার্কুলার) জারি করা হয়েছে। কিন্তু এই বদলি নীতিমালা বাস্তবায়নে রাজশাহী আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আন্তরিকতা নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে বলা হয়েছে- খাদ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত বদলি নীতিমালা অনুযায়ী তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের মধ্যে যারা বদলিযোগ্য হয়েছেন, তাদের স্ব স্ব বিভাগের বিভিন্ন জেলায় বদলিপূর্বক অত্র দফতরকে অবহিত করার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো। পাশাপাশি স্ব স্ব বিভাগের সকল পদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বদলির আদেশের অনুলিপি মহাপরিচালক বরাবর আবশ্যিকভাবে প্রেরণ করার জন্যও নির্দেশ প্রদান করা হলো।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহী আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ে কর্মরত উপ-খাদ্য পরিদর্শক ইবনে মাসুদ একটানা ১৫ বছর ধরে একই কর্মস্থলে রয়েছেন। তবে এই সময়ে তিনি একাধিকবার পদোন্নতিও পেয়েছেন। এছাড়া হিসাব রক্ষক মোসা: তাহমিনা খাতুন প্রায় ১৫ বছর, উচ্চমান সহকারী মো: নজরুল ইসলাম প্রায় ১৪ বছর, হিসাবরক্ষক সেলিম প্রায় ৯ বছর ধরে একই কর্মস্থলে রয়েছেন। এর বাইরে আরও কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী দীর্ঘ সময় ধরে এখানে কর্মরত। সব মিলে রাজশাহী আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ে কর্মরতদের মধ্যে যারা বদলিযোগ্য; কিন্তু অদৃশ্য কারণে তারা অন্যত্র বদলি হন না।

এদিকে, ‘রাজশাহী আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ে বদলি নীতিমালা কার্যকর না হওয়া প্রসংগে’ খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক বরাবর লিখিত আবেদন করা হয়েছে। গত অক্টোবরের মাঝামাঝি রাজশাহী আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের আওতাধীন ঠিকাদার সমিতির পক্ষ থেকে এই আবেদন করা হয়।

বদলিযোগ্যদের বদলি না করা প্রসংগে জানতে চাইলে রাজশাহী আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো: রায়হানুল কবীর বলেন, কিছু অভিজ্ঞ কর্মকর্তা-কর্মচারী এখানে কর্মরত আছেন যারা অন্যত্র বদলি হলে কিছুটা সমস্যা তৈরি হবে। নতুন কেউ আসলে কাজ বুঝতেই অনেক সময় চলে যাবে। এতে কার্যক্রম পরিচালনায় ব্যাঘাত ঘটবে। তবে জারিকৃত সার্কুলার অনুযায়ী বদলি নীতিমালা বাস্তবায়নে পর্যায়ক্রমে পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

এক প্রশ্নের জবাবে রায়হানুল কবীর দাবি করেন, দীর্ঘদিন ধরে এই কর্মস্থলে থাকলেও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কেউই সি-িকেট করে অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ সঠিক নয়।

মতিহার বার্তা ডট কম: ২৪ নভেম্বর ২০২০